মোহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম:
আমিরাত প্রতিনিধি।
বাংলাসাহিত্য ধন্য হয়েছে অনেক কবির প্রবাস জীবনে রচিত কবিতা নিয়ে। মাইকেল মধূসূদন বাংলায় অমৃত স্বাদ গ্রহণে প্রবাসে বসে যেসব রচনা রচনা করেছেন তা সাহিত্যের অনন্য সম্পদ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। আমিরাতের শারজাহে আরবান রীডার্স ও বায়ান্ন টিভি আয়োজিত কনসাল জেনারেল জামাল হোসেনের আঁকা ও কলকাতার কবি তানিয়া চক্রবর্তীর লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘বৃত্ত’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।
শনিবার বাংলাদেশ সমিতি শারজাহের বঙ্গবন্ধু হলে এর মোড়ক উন্মোচন করেন আমিরাতের রাজসভার কবি সুলতান আল কেতবী। বায়ান্ন টিভির বার্তা সম্পাদক তিশা সেনের পরিচালনায় বইয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়ান্ন টিভির সম্পাদক ছড়াকার লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আরবান রীডার্স এর অন্যতম সংগঠক নওশের আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা ও বরেণ্য সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলা ভাষা ছাড়াও আরবী, ইংরেজি, হিন্দী ও উর্দু এ ৪ ভাষায় অনুবাদ কবিতাসহ বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এ সময় বইয়ের উপর পাঠক মন্তব্য করেন আল হারামাইন গ্রুপ ও বায়ান্ন টিভির চেয়ারম্যান সিআইপি মাহতাবুর রহমান নাসির, বাংলাদেশ সমিতি আবুধাবীর সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ সমিতি শারজাহের সভাপতি আলহাজ এম এ বাশার, সম্মিলিত সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ লন্ডনের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান ও ড্যানিয়ুব প্রপার্টিজের কর্মকর্তা আরিফ ভালদার।
এ সময় ছবির কবিতা ও কবিতার ছবি নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কলকাতার কবি তানিয়া চক্রবর্তী। বাংলাভাষার পাশাপাশি কবিতার বিশ্বায়নে তিনি বইটিতে অন্য ৪টি ভাষায় অনুবাদের নেপথ্য কথা তুলে ধরেন।
পরে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের কবি ফাহাদুর রহমান, সৈয়দ আলী হামিদ জাইদি ও সৈয়দ আমান হায়দার জাইদি।
অনুষ্ঠানে জ্ঞাননির্ভর কমিউনিটি গড়ার মানসে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন যে সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সমিতি শারজাহে একটি লাইব্রেরী স্থাপনের ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি আলহাজ এম এ বাশার। ব্যতিক্রমী আর পিনপতন নীরবতার এ অনুষ্ঠানের সহায়তা বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ।
অনুষ্ঠানটি সাংবাদিক, কমিউনিটির বোদ্ধামহল এবং বহুজাতিক সাংস্কৃতিককর্মীদের মেলবন্ধনে মুখরিত হয়ে ওঠে। এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকার অনুরোধ করেছেন প্রবাসিরা।