সাফিউল ইসলাম রকি
জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস অফিস ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আয়োজন করেছে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মের এই সপ্তম অধিবেশনটির ফাঁকে ফাঁকে আমরা পর্যালোচনা করছি সেনদাই ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের দূতরা।
এই প্ল্যাটফর্মে থেকে বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধি থেকে জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা আমাদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন।
আমরা যেমন বন্যা ঝড় জলোচ্ছ্বাসে মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ সহনীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছি, তখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করছে স্বাগতিক দেশ ইন্দোনেশিয়া।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি এজেন্সির তথ্য বলেছে, ২০২১ সালে ইন্দোনেশিয়া ৩০৩৪ টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। যা কেড়ে নিয়েছে ৬৬২ প্রাণ।
গ্লাসগোতে গেলো বছরের কপ২৬ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে অংশ নেবার আলোকে আমরা বিশ্ব নেতৃত্ব কে বলছি, জলবায়ু পরির্বতনের অন্যতম প্রধান কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য মূলতঃ দায়ী শিল্পোন্নত দেশসমূহ। এসব দেশ থেকেই প্রতি বছর বিলিয়ন টন কার্বন পরিবেশে উন্মুক্ত হচ্ছে। যার জন্য ভুগতে হচ্ছে আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে।
এই ধরিত্রী আমাদের, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখার দায়িত্ব বর্তমান ও প্রজন্মের ওপর বর্তায়।
সম্মেলনের ফাঁকে আমরা অংশ নিলাম মিনিস্টারিয়াল ট্রি-প্লান্টেশন কর্মসূচিতে।
বালির সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের চারা রোপণ করার মাধ্যমে অংশগ্ৰহণকারী দেশের মন্ত্রীরা সরব স্ব দেশের পক্ষে এভাবে গাছের চারা লাগিয়েছেন।