আমাদের মুক্তকন্ঠ
নিমতলি অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয় ২০১০ সালের ৩রা জুন তারিখে এই অগ্নিকাণ্ডে নিশ্চিতভাবে ১১৭ জন মানুষ নিহত হন । আবার সেই জুন মাসের ০৪ তারিখে দেশের ইতিহাসে এতোবড় অগ্নিকান্ড আর এতোগুলো মানুষের মৃত্যু আর শত শত মানুষের আর্তনাদে বন্দরনগরী চট্রগ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আছে, কেউ কেউ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে এসে মৃত্যুর প্রহর ঘুনছে। তবুও আমাদের কিছু করার নেই মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে *It’s a Incident* আবার বেশ কিছু দিন পত্রিকার শিরোনাম হবে, সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় হবে, দেশের প্রখ্যাত রাষায়নিক বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবে, বিষ্ফোরক অধিদপ্তর কিছু অভিযান পরিচালনা করবে , কিছুদিন পর আবার সব কিছু একই জায়গায় হয়ত প্রহর ঘুনতে হবে অন্য কোথাও Incident এর আশায়। এভাবেই চলছে আমাদের রাষায়নিক সেক্টর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো।
অতীব দু:খের বিষয় প্রায়ই সেক্টরের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ননীতি থাকলেও তা পরে আছে কাগুজে কলমে , নিয়মনীতিতে নেই কোন ভ্রুক্ষেপ আর নূন্যতম জবাবদিহিতা।
ঢালাওভাবে সরকারকে দোষারোপ করাই আমাদের কার্যত স্বভাব। স্ব-স্ব সেক্টর যদি নিয়মনীতিগুলো মানে, আইনের প্রয়োগ করে মাঝে মাঝে রানা প্লাজা, নীমতলী আর সদ্য সীতাকুন্ডের মতো এ রকম দুর্ঘটনার মাধ্যমে খালী হতোনা বহু মায়ের কোল আর বরণ করে নিতে হতে হতোনা পঙ্গুত্বের মতো আমরণ জাতীয় অভিসাপ।
বাংলাদেশে বি এম ডিপোর মতো আরো অনেক ডিপো আর ক্যামিক্যাল গুদাম রয়েছে যেখানে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাখা হয়েছে বহু বিষ্ফোরক ক্যামিক্যাল । সংশ্লিষ্ট সেক্টর যদি অনতিবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রতি কয়েক বছর পর পর এ ধরনের Incident সহ্য করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে কারণ আমরা জাতী হিসেবে আমাদের বিবেক আর সামাজিক দায়বদ্বতাকে বহূ আগেই ক্ববর দিয়ে দিয়েছি । ব্যবসায়েরে নামে অপরের জীবনকে ঝুকির মধ্যে ফেলে অর্থ অর্জন আমাদের এখন ট্রেডিশন ।
পরিশেষে সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে নিহত সকলকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন আর আহত সকলকে আল্লাহ দ্রুত আরোগ্য নসিব করুন আমিন।
লেখক :
এম নুরুল আলম নুরু
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ,
আলোকিত সময়।