নিজেস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠা ছোট-বড় খামারিদের উৎপাদিত গবাদিপশুর সংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি।
আসন্ন ঈদুল-আযহায় দেশে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ পশু বেশি আছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়ে আরো বলেছেন, অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রির ক্ষেত্রে হাসিল আদায় করা যাবে না। এমনকি বাজারের বাইরে বাড়িতে বা রাস্তায় কেউ পশু বিক্রি করলে তাদের কাছ থেকেও হাসিল বা চাঁদা আদায় করা যাবে না।
২০২১ সালে সারাদেশে কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় ৭ লাখ বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা থাকলেও দেশে কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না। বরং কোরবানির দেওয়ার পরেও দেশে অতিরিক্ত ২৩ রাখ ৪৯ হাজার ১৫৪টি পশু অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যাবে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশে কোরবানির চাহিদা কমে গেছে। ২০১৭ সালে দেশে মোট কোরবানি হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৫৬টি, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ১ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার হাজার ৭০টি। ২০১৯ সালে তা আরও বেড়ে হয় ১ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৮১টি। করোনা অর্থনীতি মন্দার কারণে ২০২০ সাল থেকে কোরবানি দেওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। ২০২০ সালে দেশে কোরবানি হয় মাত্র ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। এটি ২০১৯ সালের কোরবানির তুলনায় ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৮টি পশু কম কোরবানি হয়েছে। ২০২১ সালে তা আরও কমে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা কমে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ২৪২টি নেমে আসে।
তবে চলতি বছর কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা সর্বশেষ দুই বছরের তুলনায় কিছুটা বাড়বে। এবার পশুর চাহিদা ধরা হচ্ছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫টি।