বিদ্যুৎ উৎপাদনের এখন যে খরচ, আমাদের এখন লোডশেডিং করতেই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের রুটিন বা সূচি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজেস্ব প্রতিবেদক

বুধবার (৬ জুলাই) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় লোডশেডিংই একমাত্র সমাধান।”

সরকারপ্রধান বলেন, করোনার কারণে শুধু আমরা নই, পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে শুধু আমরা নই সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বে বিভিন্ন জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সারের মূল্য বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।

‘‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের এখন যে খরচ, আমাদের এখন লোডশেডিং করতেই হবে। কোন এলাকায় কত সময় লোডশেডিং হবে তা নিদিষ্ট করে দিতে হবে যেন মানুষ প্রস্তুত থাকে।’’

“দেশে এবং সারা বিশ্বে চলমান জ্বালানী সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক উপায়ে লোড ব্যবস্থাপনাই পরিস্থিতি মোকাবেলার একমাত্র উপায়,” তিনি যোগ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের প্রত্যেকটা ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। যুদ্ধের ফলে তেল, ডিজেলসহ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। যার ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখা ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। বিশাল অঙ্কের টাকা আমরা ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। ভর্তুকি না কমালে সরকার টাকা পাবে কোথায়? বিদেশেও জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। প্রত্যেকের সঞ্চয় বাড়াতে হবে, মিতব্যয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ খরচে সাশ্রয়ী হতে হবে। আশাকরি, দেশবাসী এতে সচেতন হবে।