গৃহবধূ নিখোঁজ;পরিবারের দাবী যৌতুকের জন্য হত্যা

শ্বশুরবাড়ি থেকে আকলিমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়ে গেছেন। গত বুধবার রাতে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের কালুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, আকলিমাকে যৌতুকের জন্য হত্যার পর লাশ গুম করেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
অন্যদিকে স্বামীর দাবি, তুচ্ছ কথাকে কেন্দ্র করে আকলিমা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আকলিমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে গত ২৭ জুলাই রায়পুর থানায় তিনি বাদী হয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির ৪ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিখোঁজ গৃহবধূর মা বিলকিস বেগম জানান, প্রায় ৮ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে আকলিমার সঙ্গে মোহাম্মদ হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে আকলিমা আক্তারকে প্রায়ই নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

আকলিমা বাবার বাড়িতে আসতে চাইলে হাসান আসতে দিত না। আকলিমা মোবাইল ব্যবহার করত না। গত ২৭ জুলাই রাতে মেয়ের খোঁজ নিতে বিলকিস বেগম হাসানকে ফোন করলে তিনি ধরেননি। এরপর হাসান ফোন দিয়ে শাশুড়িকে দ্রুত তাদের বাড়িতে আসতে বলে বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে রাত ১১ টার দিকে তারা হাসানের বাড়িতে গিয়ে আকলিমাকে খোঁজ করেন। এ সময় হাসান তাদের জানায়, আকলিমা আপনাদের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন তিনি থানায় জিডি করেন। কিন্তু পুলিশ মেয়েকে উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিলকিস বেগম অভিযোগ করেন, হাসানসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আকলিমাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। হাসান ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব জানা যাবে। কিন্তু পুলিশ হাসানকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।

রায়পুর থানার (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গৃহবধূ আকলিমাকে নিখোঁজের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জলজ্যান্ত একজন মানুষ এভাবে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাবে, তা হতে পারে না। আসলে কী ঘটেছে সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। উভয়পক্ষকে নিয়েও থানায় বৈঠক করা হয়েছে।