হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শংকরপুর গ্রামের হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামি কে রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুর হতে গ্রেফতার করেন বাহুবল থানায় পুলিশ!
বুধবার ০৩ আগষ্ট ২২ ইং বিকালে বাহুবল থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,গতকাল গভীর রাতে ঢাকার মোহাম্মদ পুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এস আই আল আমীন এর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ।
থানা পুলিশের সুত্রে জানা যায় গত ২৪-জুলাই বাহুবল থানার শংকরপুর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জনৈক দুলাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি খুন হয়।
জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি দ্রুত উক্ত মামলার মূল আসামীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন।
বাহুবল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মূল আসামি কবির সহ তার সহযোগী অপর দুই আসামিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, বাহুবল মডেল থানাধীন ০৩ নং সাতকাপন ইউপির অন্তর্গত শংকরপুর রাস্তার উপর ঝড়ে বাঁশ হেলে পড়ে রাস্তা চালাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একই সাকিনের সিএনজি চালক জনৈক জুলহাস মিয়া উক্ত বাঁশ নিজ দায়িত্বে কাটাকে কেন্দ্র করে শংকরপুর গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
তারই জের ধরে ইং ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহ অতর্কিত আক্রমন করে ভিকটিম দুলাল এবং তার অন্যান্য লোকজনদের আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জখমীদের চিকিৎসার জন্য বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পথে দুলাল মিয়া পথেই মৃত্যুবরণ করে ।
অন্যান্য জখমীদের উন্নত চিকিৎসার্থে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। উক্ত মারামারির সংবাদ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক সহকারী পুলিশ সুপার, বাহুবল সার্কেল ও অফিসার ইনচার্জ সহ থানার অন্যান্য অফিসার ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ।
ঘটনার রাতেই অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ০৫ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, মূল আসামী কবির পালিয়ে ঢাকায় এবং কুমিল্লা জেলায় আত্নগোপন করে থাকে। প্রযুক্তির সহায়তায় মূল আসামি কবির সহ তার সহযোগী অপর দুই আসামিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে গ্রেফতার এর বিষয় টি নিশ্চিত করেন বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস। তিনি জানান সকলের সার্বিক প্রচেষ্টার ফলে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়। এবং অন্যান্য পলাতল আসামি দের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।