ডিজিটাল যুগে সব কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। চুরি, ডাকাতিতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগিয়েছে অপরাধ চক্রের সদস্যরা। গ্রামেও এখন পাকা বাড়ি ঘরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ‘সিধেঁল চুরি’ নামের চুরি বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগেই।
টিন অথবা বাঁশ দিয়ে তৈরি বেড়ার ঘরের নিচের অংশ মাটি দিয়ে তৈরি হওয়ায় চোরের দল গভীর রাতে শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়ে ঘরে প্রবেশ করতো এক সময়। এরপর ঘরের মালামাল নিয়ে ওই পথেই পালিয়ে যেত। আর এ চুরিকেই বলা হতো সিধেঁল চুরি।
এই পন্থায় চুরি করতে একদিকে যেমন সময় লাগতো, অন্যদিকে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরিতেও শারীরিক পরিশ্রম হতো চোরের। কিন্তু,গত দুই যুগ ধরে সিঁধেল চুরির কথা আর শোনা যায় না। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বামনী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড পূর্ব সাগরদী গ্রামে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সিধেঁল চুরি। গত রাতে ৬টি ঘরে সিধেঁল চুরি সংঘটিত হযেছে।
ওই এলাকার নূর বক্স খলিফা বাড়ী, ইয়াছিন হাজী বাড়ী,আয়াত উল্যা মিঝী বাড়ী,এলাহী বক্স কাজী বাড়ীতে রাতের আঁধারে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
নূর বক্স খলিফা বাড়ীর শহিদ উল্যা ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়। ইয়াছিন হাজী বাড়ীর রাজু ঘর থেকে ১২ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়। আয়াত উল্যা মিঝী বাড়ী মোস্তফা কামালের ঘর থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোন এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়। এলাহী বক্স কাজী বাড়ী ছানা ঘর থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোন,নগদ টাকা এবং স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়।
এছাড়া ইয়াছিন হাজী বাড়ির রফিক উল্যা ঘরে সিঁধ করে ঘরে ঢুকলে ঘরের লোকজন গুমথেকে জেগে গেলে কিছু নেওয়া সম্ভব হইনি। এবং নূর বক্স খলিফা বাড়ীর জুয়েল হোসেন ঘরে ডুকার চেষ্ঠা করলে গুমথেকে তারা জেগে গেলে পরবর্তীতে চোরের দল পালিয়ে যায়।
এছাড়া প্রায় ৭/৮ মাস আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সুবেদার মেজর হাজী মো: মোস্তফা মিয়ার ঘরে ডাকাতি করা হয়। এবং আয়াত উল্যা মিঝি বাড়ীর শফিকুর রহমানের ছেলের মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়াও দাই বাড়ির আহছান উল্যার ঘরে ডাকাতির ঘঠনা ঘটে।
৭নং বামনী ইউপি সদস্য জাহিদুল আলম সুমন জানান, হঠাৎ করে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে, চুরি ঠেকাতে গ্রাম পুলিশদের সহোযোগিতায় রাতে টহল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
রায়পুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তামান্না আক্তার বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য কেউ আমাদেরকে জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।