হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে এক নারীকে অপহরণ করে চা বাগানে আটকে রেখে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
অপহৃতা মোছাঃ রুমা বেগম (২২) মুঠোফোনে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণের বিষয়টি জানান।
রুমার পরিবার তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানালে মাধবপুর থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইসমাঈল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম চুনারুঘাট থানার পুলিশের সহায়তায় চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগান থেকে রুমা বেগমকে উদ্ধার করে!
ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেন!
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে মো. নাজমুল হোসেন (২৬), একই এলাকার মো. নুর মিয়ার ছেলে মো. শাহীন মিয়া (২৫) ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের মো. আছকির মিয়ার ছেলে মো. এখলাছ মিয়া (২৬)।
রবিবার (২৮ আগস্ট২২) ইং বিকালে তিনজনকে আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা করেন রুমা বেগম।
অভিযোগকারী রুমা বেগম মাধবপুর উপজেলার শিয়ালউড়ি গ্রামের মো. সাচ্চু মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রুমা বেগম দাঁতের ডাক্তার দেখানোর জন্য মাধবপুর উপজেলার হরষপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার সময় স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তিন ব্যাক্তি তাঁর চোখ ও মুখ বেধে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা তাকে একটি চা বাগানে নিয়ে আটকে রেখে তার মুঠোফোন থেকে ফোন করে পরিবারের নিকট থেকে সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণ এনে দিতে বলে।
অন্যথায় তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। সে আতংকিত হয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে বললে, পরিবারের সদস্যরা মাধবপুর থানায় বিষয়টি জানায়।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে অভিযান চালিয়ে রুমা বেগমকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,
গ্রেপ্তারকৃত তিন যুবককে রবিবার বিকালে হবিগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে!