রায়পুরের জিনের বাদশা নসু সওদাগর সহযোগীসহ আটক

লক্ষ্মীপুররের রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে এক লাখ টাকা নিতে এসে জনতার হাতে ধরা পড়েছে কথিত ‘জিনের বাদশা’ নসু মিয়া সওদাগর (৫০) ও তার প্রধান সহযোগী মোঃ ইউনুস (৫২)। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্চ কালিরবাজার এলাকায় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে রায়পুর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আটক জিনের বাদশা নসু মিয়া সওদাগর রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রামের ওয়াবদা কলোনি মৃত মিছির আলী ছেলে। অপরজন মোঃ ইউনুছ (৫২), কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের লক্ষ্মীপুর (পূর্ব) বেপারী বাড়ি, বর্তমানে- সাং- দেনায়েতপুর (সওদাগর বাড়ী), ইসমাইলের ছেলে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক টাকা পাওয়া যায়।

পুলিশ ও ভুক্তভুগী নারী জানান,গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ফরিদগঞ্জের কালিরবাজার এলাকার মোসাঃ আমেনা বেগমের (৪০) স্বামী আনোয়ার হোসেন দীর্ঘবছর দেশে আসেননা। এতে সরলতার সুযোগ নিয়া তাহার স্বামীকে প্রবাস হইতে দেশে নিয়া আসিবে বলে রায়পুরের জিনের বাদশা নসু সওদাগর এই নারীর কাছে দেড় লাখ টাকা দাবী করে। জিনের বাদশার কথা বিশ্বাস করে তাদের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়া সরল বিশ্বাসে তাকে ৫০ হাজার-টাকা দেয়।

গত রোববার পূনরায় ওই নচরীর বাড়িতে গিয়ে ৮৭ হাজার টাকা আদায় করে । এতে কোন কাজ না হওয়ায় সন্দেহ হলে দুই প্রতারক টাকা নিয়া পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজনসহ ফরিদগঞ্জের কালির বাজারে আটক করে। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী মামল্ করেন, যার নং-০৫( ০৯)২২, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড।

বিকালে উদ্ধারকৃত নগদ এক লাখ টাকাসহ জিনের বাদশা ও তার সহযোগিকে লক্ষ্মীপুর আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক জুয়েল মজুমদার বলেন,মোবাইল ফোনে প্রতারণার বিষয়টি জেনে কথিত জিনের বাদশাকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়।পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের দুইজনকে খবর দেয়া হয়। টাকা নিতে এসে ধরা পড়ে জিনের বাদশা। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। তারা গত ২০ বছর ধরে প্রবাসীর স্ত্রী এবং সহজ সরল লোকদের সাথে এইভাবেই প্রতারনা করছে।