আমাদের জাতির চরম দূর্ভাগ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এখনো আমাদের বীরাঙ্গনা মায়েরা সরকারী ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, আজো তারা ভাতা পাচ্ছেননা। এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য দুঃখজনক ও চরম লজ্জ্বার ঘটনা। এসবের সাথে যুক্তব্যাক্তি বা সরকারী কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। সাম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাবির অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীনের ঢাবির অফিসে মৌলভীবাজার থেকে আগত বীরাঙ্গনাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারন সম্পাদক রুবেল রাজের অসামান্য কাজের জন্য আমার কাছে তো বটেই, পুরো জাতিকেই ঋণের পাশে আবদ্ধ করছেন।তিনি তার রাজনগর উপজেলার ৭ জন বীরাঙ্গনা মায়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সরকারী ভাতার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সংগ্রাম করে যাছেন। জাতির পক্ষ থেকে তাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
জানাযায়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারন সম্পাদক রুবেল রাজের নেতৃত্বে ৭ জন বীরাঙ্গনারা যথাক্রমে ফুলবিবি স্বামী মৃত সুরেন্ড, ছায়া মালাকার পিতা সুরি মালাকার, তিলুয়া রবিদাস স্বামী মৃত কানাইলাল রবিদাস, মায়া রানী শব্দকর স্বামী সুবন্য শব্দকর, মায়া রানী শব্দকর স্বামী মৃত শিবু রাম শব্দকর, গীতা শব্দকর স্বামী সুখময় শব্দকর, সরলা শব্দকর স্বামী চরিত্র কর’দের জন্য মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সরকারী ভাতার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সংগ্রাম করে যাছেন।
তাদের মধ্যে ফুল বিবি, তিলুয়া রবিদাস ও ছায়া মালাকারসহ আরো জয়গুন আক্তার খানম মোট চারজন ঢাবির অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র ড. জামাল উদ্দীনের অফিসে আসেন। এ সময় তাদের সান্নিধ্য পেয়ে তিনি আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন এবং খানিকটা সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যান।কিছু সময় কুশল বিনিময়ের পর জানতে পারেন, তারা ঢাকায় মন্ত্রনালয়ে এসেছেন সরকারী ভাতা পাবার আবেদন নিয়ে। বিষয়টি শুনে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আফসোস করে বলেন, আমাদের জাতির দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এখনো আমাদের বীরাঙ্গনা মায়েরা সরকারী ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে হন্ন হয়ে ঘুরছেন। এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য চরম লজ্জ্বার ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এসবের সঙ্গে যুক্তব্যাক্তি বা জেলা উপজেলার সরকারী কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অধিকার ও সার্বিক কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের প্রতিটি কর্মী, এটিই আমাদের অঙ্গীকার।