একজন শিক্ষক হলেন একজন বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক যিনি আমাদের হাত ধরেন, আমাদের মন খুলে দেন এবং আমাদের হৃদয় স্পর্শ করেন।
একজন শিক্ষকের অবদানকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে, শিক্ষক দিবস একটি বিশেষ দিন যেখানে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়।
শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ তিনিই শিক্ষক। আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিতরাই শিক্ষক। শিক্ষকগণ জাতি গঠনের কারিগর। কেননা একজন আদর্শ শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের কাছে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। একজন শিক্ষকই পারেন তার ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে, শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করতে। একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।
শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান প্রদর্শনে বৈশ্বিকভাবে শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয়। সর্বজন স্বীকৃত বিশ্ব শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর। ভারতে, ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয় এবং এই সংস্কৃতিটি ১৯৬২ সাল হতে শুরু হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এই ঐতিহ্যের সূচনা ঘটায় ইউনেস্কো। শিক্ষকদের নিবিষ্টতা ও কৃতিত্ব উদযাপন করা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তারা যে প্রাধান্য দেয় তা ধারণ করাই ইউনেস্কো এর মূল উদ্দেশ্যে।
শিক্ষকতা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী কাজ। শিক্ষকরা তরুণদের মন গঠন করে এবং জ্ঞান ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ টিকে থাকতে পারে না। শিক্ষক তার সন্তানতূল্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো মূল্যবোধ জাগ্রত করেন এবং তাদেরকে দায়িত্বশীল নাগরিকে পরিণত করেন। তাই, আমাদের উচিৎ এই মহৎ দিনে কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।
লেখক: তাসদিকুল হাসান
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।