প্রিয় নবীর জন্মদিনে তিন শতাধিক বন্দীকে মুক্তি দিলেন ওমানের সুলতান

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জন্মদিন উপলক্ষে তিন শতাধিক কারা বন্দীকে মুক্তি দিলেন ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারেক। শনিবার (৮-অক্টোবর) এক বিবৃতিতে রয়্যাল ওমান পুলিশ জানিয়েছে মোট ৩২৫ জনকে রাজকীয় ক্ষমা ঘোষণা করেছেন সুলতান।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪১ জন প্রবাসীও রয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে কারাবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার রীতি চালু করেন ওমানের প্রয়াত সুলতান কাবুস। তার শাসনামল থেকেই পবিত্র ঈদের দিন, দেশটির জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে জেল বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়।

বিশ্বনবীর ভালোবাসায় বেশ ঘটা করে বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা নবীর জন্মদিন পালন করেন। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে ওমান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশেও বেশ আয়োজন করে পালিত হয় এই দিনটি। এদিকে, বিশ্বনবীর ভালোবাসায় ওমান সুলতানের এমন কাজের ভুয়ুসি প্রশংসা করেছেন প্রবাসীরাও। রবিউল আউয়াল মাসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন আবার এ মাসেই তিনি ইন্তেকাল করেন। প্রিয়নবির আদর্শ বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণা লাভে বিশ্বব্যাপী এ মাসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ্‌। নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল।

তার মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদগুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তার ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।