১২ রবিউল আউয়াল, এদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেছেনে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে অংশ নিয়েছেন লাখো লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন। সবার মুখে ছিল হামদ, নাত, দরুদ, স্লোগান আর হাতে ছিল জুলুসের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন।
রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর আলমগীর খানকা শরীফ থেকে পবিত্র মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস বের হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্ট চট্টগ্রাম সবচেয়ে বড় জুলুস বা শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
এবারের ৫০তম জুলুসের নেতৃত্ব দিয়েছেন আওলাদে রাসুল দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ। এবং উপস্থিত ছিলেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ।
আলমগীর খানকা শরীফ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুর, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ, চট্টগ্রাম কলেজ, জামালখান, কাজির দেউড়ী মোড়, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, ২নং গেইট হয়ে আবার মুরাদপুর হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে জুলুস শেষ হয়। এরপর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আখেরি মোনাজাতে সারা বিশ্বের শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।
আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকেই নবীপ্রেমী মানুষ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে জড়ো হয়েছেন জামেয়া মাদ্রাসা মাঠও আশপাশের এলাকায়। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সংক্ষিপ্ত পরিসরে জশনে জুলুস সিমিত পরিসরে হয়েছিল। এবার জুলুসে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে।
জুলুসে অংশ নেওয়া কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তারক বলেন, প্রতি বছরই জশনে জুলুসে অংশ নিই। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে হামদ নাথ পড়ি। এতে অন্যরকম এক প্রশান্তি আসে মনে।
এদিকে জুলুস দেখতে সড়কের পাশে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। এসময় শরবত, কমলা, চকলেট, পানিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়। এছাড়া জুলুসের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছে চট্টগ্রাম নগরের সড়ক, মোড় ও সড়ক বিভাজক। জশনে জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, জুলুসের শৃঙ্খলা এবং মাহফিলের আদব রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।