ছেলের সঙ্গে অভিমান করে লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন মা। এ সময় ডুবতে থাকা মাকে বাঁচাতে ছেলেও ঝাঁপ দেন নদীতে। এর পর থেকে ওই তরুণ নিখোঁজ। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের বিপরীতে চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ তরুণের নাম নাঈম হোসেন (২১)। তিনি শরীয়তপুরের সুখিপুর উপজেলার আক্তার হোসেনের ছেলে। নাঈমকে উদ্ধারে পাগলা কোস্টগার্ড ও পুলিশের দুটি উদ্ধারকারী দল এবং একটি ডুবুরি দল কাজ করছে। তবে আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত নাঈমের কোনো খোঁজ মেলেনি।
কোস্টগার্ড ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাঈম হোসেন ও তাঁর মা জামিরুন বেগম (৪০) বাইজিদ জুনাইদ-১ লঞ্চ করে শরীয়তপুর সখিপুরের দুলারচর লঞ্চ থেকে ঢাকা সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের বিপরীতে চর কিশোরগঞ্জ এলকায় আসে। এ সময় চলন্ত লঞ্চ থেকে জামিরুন বেগম নদীতে লাফিয়ে পড়েন। মাকে বাঁচাতে ছেলেও লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর পানিতে তলিয়ে যান নাঈম।
নাঈমের মায়ের বরাত দিয়ে গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইজাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, লঞ্চে ওঠার পর নাঈম তাঁর মা জামিরুনের কাছে টাকা চাইছিলেন। তবে জামিরুন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে নাঈম বাগ্বিতণ্ডা করেন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে নাঈম তাঁর মায়ের গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার বলে হুমকি দেন। এ সময় নাঈম তাঁর মায়ের গলায় হাত দিলে, তাঁর মা ক্ষোভে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে মাকে বাঁচানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে নাঈম নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে স্থানীয় ট্রলারচালকেরা জামিরুনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে সাঁতার না জানায় নাঈম পানিতে ডুবে যান।
পাগলা কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে পাগলা কোস্টগার্ড ও পুলিশের দুটি উদ্ধারকারী দল ও একটি ডুবুরি দল কাজ করছে।