দেশব্যাপী আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বই উৎসব। করোনার সংকট কাটিয়ে এবার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় আজ রোববার (১ জানুয়ারি) একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বই উৎসব। আর এই বই দিয়ে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান।
মাধ্যমিক স্তরের কেন্দ্রীয় বই উৎসব হবে গাজিপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আর কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক স্তরের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে চার কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮১ শিক্ষার্থীর সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে দুই লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি।
নানা সংকটের মধ্যে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সব সংকট কাটিয়ে অবশেষে আড়ম্বরপূর্ণভাবে সারা দেশে বছরের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হবে পাঠ্যবই উৎসব। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের মাধ্যমে শুরু হবে উৎসব আয়োজন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডলার ও সংকট দাম ঊর্ধ্বমুখী, ছাপা সরঞ্জামের বাড়তি মূল্য লোডশেডিং, গ্যাস সংকটের কারণে বই উৎসব নিয়ে অনিশ্চয়তার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এসব সংকট কাটিয়ে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবই। দেশের সকল উপজেলায় বই পৌঁছে গেছে। পৌঁছে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও।
সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।