সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর: গ্রেফতার আসামি রিমান্ডে

 

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সাংবাদিককে জিম্মি করে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কাঞ্চন কুমার তুড়িকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার কাঞ্চন কুমার তুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট এলাকা থেকে আসামি তুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। সে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

এর আগে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাঙ্গুনিয়ায় ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হামলার শিকার হন ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ রিপোর্টার আবু আজাদ।

এ ঘটনায় হামলার শিকার সাংবাদিক আবু আজাদ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), ইটভাটার ম্যানেজার কামরান (৩০), মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির (৩০) নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও পাঁচ-সাত জনকে আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টা, মারধর, টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিলকী বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার ছবি তোলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করেন। অস্ত্রের মুখে মোহন তাকে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়েও কয়েক দফা মারধর করেন। এরপর তার কার্যালয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন। তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন এবং মানিব্যাগ ও আইডি কার্ডসহ সব কেড়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। মারধরের একপর্যায়ে মোহন মোবাইল ফোনে আবু আজাদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে কথাও বলেন। এরপর আজাদের পকেটে মোহন নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করতে বলে হুমকিও দেন।