সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অনুশীলনের মাধ্যমে পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন সাধন করাই শীতকালীন অনুশীলনের লক্ষ্য। এছাড়া বহিশত্রুর যেকোনও আগ্রাসন প্রতিহত করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা সাভার মিলিটারি ফার্মে ফিল্ড হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন,গত ১৯ ডিসেম্বর (২০২২) থেকে তিন সপ্তাহের জন্য নতুন উদ্যমে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। জাতির গর্ব এবং আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন এবারের প্রশিক্ষণের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “যুদ্ধ পারঙ্গমতা, যুদ্ধোপযোগিতা ও রণপ্রস্তুতি প্রদর্শন’। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশকে বহিশত্রুর আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে সেনাবাহিনী।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, সেনাপ্রধানের পরিদর্শনের সময় চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, ২০১২ সালে সেনাবাহিনী পর্যায়ে শীতকালীন প্রশিক্ষণের পর গত বছর সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মত লজিস্টিকস এফটিএক্স এবং দশ বছর পর এবছর এত বৃহৎ পরিসরে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর সক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্য রণপ্রস্তুতির বাস্তব বহিপ্রকাশ।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর শীতকালীন বহিরঙ্গণ অনুশীলনটিতে অধিকতর বাস্তবধর্মী ও অভিনব জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, আমাদের এই শীতকালীন প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে। আমরা এখন বিগত বছরের চেয়ে অধিক প্রশিক্ষিত, অধিক প্রত্যয়ী এবং বহিশত্রুর যে কোনও আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।