প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তার দল ও সরকার সর্বদা জনগণের দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকবে। তিনি বলেন, জনগণের সেবাই আওয়ামী লীগের একমাত্র মূলমন্ত্র।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভার কার্যক্রম শুরুর আগে শোক প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি এবং জনগণের সেবা করাই আমাদের মূলমন্ত্র। দেশবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে যা যা প্রয়োজন আওয়ামী লীগ সরকার সবই করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ সরকারই নয়, এর নেতাকর্মীরাও জনগণের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগের) নীতি হচ্ছে জনগণের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে একটি সুন্দর জীবন দিতে চেয়েছিলেন এবং আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়ায়, এটাই হচ্ছে আমাদের নীতি। জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে গেছেন কাজেই এদেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সবসময় মানুষের পাশে আছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের যে নতুন কমিটি হয়েছে আমাদের কমিটির সদস্যরা প্রত্যেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের যা যা করণীয় তা আমরা করে যাব, তাদের পাশে আমরা চিরদিন থাকবো, চিরদিন আছি এবং মানুষের সেবা করাটাই আমাদের সব থেকে বড় লক্ষ্য।
তিনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের যে ভাষণ ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেই ৭ মার্চের ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। যে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিষিদ্ধ ছিল তাকে আমরা আজকে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে ফিরে পেয়েছি এবং বাংলাদেশ আজকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি মানুষের আর্থসামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত আমরা মানুষের জন্য দু’বেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আর জাতির পিতা শেখ মুজিবের বাংলায় কোনও মানুষ আর ভূমিহীন-ঘরহীন-ঠিকানা বিহীন থাকবে না, আমরা ঘর করে দিচ্ছি। যারা বাকী আছে তাদেরকেও ঘর করে দেব।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার সাফল্যের উল্লেখ করে বলেন, প্রতি ঘরকে আমরা আলোকিত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে আরও ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে। আজকে উন্নত দেশও হিমসিম খাচ্ছে এবং নিজেদেরকে তারা অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ এখনও সে পর্যায়ে যায়নি এবং তাঁর সরকার এখনও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচির কলেবর বৃদ্ধি করে দিয়েছে। অতি উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে ক্রয় করতে হলেও ভর্তুকি প্রদান করে নিত্যপণ্য মানুষের মাঝে সরবরাহ করছে।
তিনি এ সময় দেশের সকল অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোয় তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, অনেক দেশে আজকে খাদ্যের জন্য হাহাকার। কিন্তু আমরা এই মাটিকে যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যকেও সাহায্য করতে পারবো। খবর বাসস।