চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে রোগীরা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে আন্দোলন করেন তারা।
এসময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ডর নিয়ন্ত্রিত এ প্রতিষ্ঠানে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
আন্দোলনরত রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রতিমাসে একজন রোগীকে ৮ বার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়।
এরমধ্যে দুইবার ২৭৯৫ টাকা করে পরিশোধ করলেও বাকি ৬ বারই ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হতো একজন রোগীকে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে এসে দু’বারের পরিবর্তে তা চারবার করা হয়। তাও আবার ফি বাড়িয়ে ২৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। আর বাকি চারবার ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রতি রোগীর ডায়ালাইসিস ফি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
এদিকে, প্রতিবছরই একটি নির্দিষ্ট হারে ডায়ালাইসিস সেবার ফি বাড়ানোর নিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সাড়ে ৬ হাজার জন ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে। সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ বিষয়ে শীঘ্রই একটি সমাধান পাবো।
প্রসঙ্গত, পিপিপি’র আওতায় পরিচালিত চমেক হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারটি চালু হয় ২০১৭ সালে। বর্তমানে ৩১টি মেশিন নিয়ে চলছে এ সেন্টার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর এই সেন্টারে তাদের কার্যক্রম দশ বছর চালিয়ে যাবে। এর জন্য সরকারি জায়গা ব্যবহার করবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিটি কিডনি ডায়ালাইসিসের বিপরীতে প্রায় ৩ হাজার টাকা (বর্তমানে) দিতে হয় রোগীকে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমোদনে ফি কমিয়ে ৫৩৫ টাকা (বর্তমানে) দিতে পারেন একজন রোগী। কিন্তু অর্থ কমালেও স্যান্ডোরকে প্রতি মাসেই ৩ হাজার টাকা (বর্তমানে) হিসেব করেই বিল পরিশোধ করতে হয় সরকারের।