আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষপর্ব। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি আর কল্যাণ কামনা করা হয়। পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।

মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার সকাল থেকে টঙ্গীর তুরাগতীর ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন! লাখো মুসল্লিল কণ্ঠে একই ধ্বনি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনারত নানা বয়সের মানুষ।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা; দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করা হয়। আত্মশুদ্ধি, বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত, রহমত লাভ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে আখেরাতে মুক্তির আকুতি জানান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

মোনাজাতে অংশ নিতে ভোরের শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকার লাখো মানুষের স্রোত এসে মিশে তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানে। বাস-ট্রেনে উপচেপড়া ভিড়। যানবাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে সমবেত হন।

সকাল হতেই তুরাগ তীর ছাপিয়ে জনস্রোত মিশে যায় আশপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে। বিপুল সংখ্যক নারী মুসল্লিও ময়দানের আশপাশের মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

মোনাজাতের আগে চলে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে হেদায়েতি বয়ান। গত তিনদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমদের বিভিন্ন ভাষায় বয়ান। চলে জিকির-আসকার ও ইবাদত-বন্দেগি।

এদিকে, যাতায়াত সুবিধার জন্য ১৩টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও মোনাজাত শেষে যানবাহন সংকটে পড়েন মুসুল্লিরা।

মোনাজাতের পর দীনের দাওয়াতি কাজে বিভিন্ন স্থানে বেরিয়ে পড়তে জামাতবদ্ধ হন মুসল্লিরা।