জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির সঙ্গে কাউন্সিলর কার্যালয়ের যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি।
অভিযানে কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও কাউন্সিলর কার্যালয়ের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের।
তিনি জানান, বিভিন্ন কাউন্সিলর অফিসের জন্মনিবন্ধন আইডি হ্যাক করে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে। যা সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম মাঠে নামে। এ কাজের সঙ্গে কাউন্সিলর কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে জন্মনিবন্ধন সার্ভার বন্ধ থাকায় আমরা সার্ভারে ঢুকতে পারি নি। সেখানে ঢুকতে পারলে আমরা আরও বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারতাম।
তবে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আইডি হ্যাক করে চলতি বছরে ৫৪৭টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করেছে হ্যাকাররা। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে ৪০টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করে হ্যাকাররা। এরপর ১০ জানুয়ারি ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ১৮টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়। এই ওয়ার্ডে ১৯ জানুয়ারি ৫০টি এবং ২২ জানুয়ারি ৩৪১টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করে হ্যাকাররা। এছাড়া গত ৮ জানুয়ারি আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ইস্যু করা হয় ৪টি জন্মনিবন্ধন সনদ। চলতি মাসের ১০ তারিখ ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ১০টি এবং ২১ তারিখ ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ৮৪টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়।