আন্দোলনরত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

অযৌক্তিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলনরত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গাড়ি পুরোনো হয়ে গেলে কয়েকদিন পরপর স্টার্ট দিতে হয়।

বিএনপির অবস্থা এখন পুরোনো গাড়ির মতোই হয়ে গেছে। তারা বিরতি দিয়ে দিয়ে প্রোগ্রাম করে। আর দম না থাকায় এখন তারা নীরব পদযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জনসভা উপলক্ষে রাজশাহী পৌঁছার পর শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি মাদরাসা ময়দানে যান। সেখানে মঞ্চ ও জনসভার স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পুরো রাজশাহীই বদলে গেছে। রাজশাহীতে ঘুরে বেড়ালে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অথচ এ রাজশাহী এক সময় ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে রাজশাহীর অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য রাজশাহী মানুষ এখন অধীর আগ্রহ অপেক্ষা করছেন। তারা আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনতে চান।

তিনি বলেন, যদিও প্রধানমন্ত্রী এখন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট চাইছেন। এখানেও চাইবেন। তবে আমরা যে কেবল এখনই ভোট চাইছি তা নয়। আমরা সব সময় জনগণের সঙ্গেই ছিলাম। গত ১৪ বছর মানুষের সঙ্গে থেকেছি। মানুষের খোঁজ-খবর রেখেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে অভাব-অভিযোগে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকেই পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, যখনই দেশে কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় হয় তখন কেবল আওয়ামী লীগকেই খুঁজে পাওয়া যায়। অন্য কোনো দলকে তখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই আওয়ামী লীগই ভোটের হকদার। এখন বিএনপিকে শীতের পাখির মতো দেখা যাচ্ছে। পরে আর পাওয়া যাবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ জনসভায় যোগ দিয়ে রাজশাহীর ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। রাজশাহীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। কেবল মাদরাসা মাঠ নয়, আশপাশের এলাকাও লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। এ জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচিতেও সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখার জন্য জনগণ অপেক্ষায় আছে।

জনসভাস্থল পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দ্বারা, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।