চসিক প্রকল্প পরিচালককে মারধর, গ্রেফতার ৪ জন

নগরের টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অস্থায়ী কার্যালয় ভবনের চার তলায় প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে রোববার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে পাঠানো ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মামলার আসামি।

তারা হলেন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস ও শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ এবং ঘটনায় জড়িত মাহমুদুল্লাহ।
চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান জানান, চসিকের কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনের আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।

এর আগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরের খুলশী থানায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে রোববার বেলা পৌনে ৪টার দিকে আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর ৪১০ নম্বর কক্ষে এই হামলার ঘটনা ঘটে। চসিকের মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এস. জে ট্রেডার্সের মালিক সাহাব উদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, নাজিম এন্ড ব্রাদার্সের নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ, অজ্ঞাত ঠিকানার ফরহাদ, ইফতেখার এন্ড ট্রেডার্সের ইউসুফ, জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের মালিক আশিষ বাবু ও আলমগীর।