রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে আসেন। এরপর মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়ালের কাছে যান। সেখানে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করেন।

নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে। আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, এটি নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায়। বিরোধীদল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।

১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯১ সালে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফেরার পর ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ব্যক্তিই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। পঞ্চম সংসদে মাত্র একবার রাষ্ট্রপতি পদে ভোটের প্রয়োজন পড়েছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বিশ্বাস জয়ী হয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ না নেওয়া পর্যন্ত বর্তমান রাষ্ট্রপতি নিজ পদে বহাল থাকবেন।