দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য সংগ্রহে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বর্তমান কমিশন কোনোভাবে সাংবাদিকদের বিপক্ষে নয়। নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।’
সোমবার (১৩ মার্চ) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের খসড়া সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। সকালে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা এ মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের নানা বাধাবিপত্তির কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে অবাধ তথ্য সংগ্রহে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ইসির ইতিবাচক ভূমিকা রাখার দাবিও তুলে ধরা হয়।
ভোটের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সেবায় ‘বিঘ্ন’ বা ‘ধীরগতি’ করার মতো ঘটনা হলে তা জনমনে সন্দেহের উদ্রেক করবে বলে মন্তব্য করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। সে ক্ষেত্রে এটা অপকৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয় কিনা তা সরকারকে অনুবাধন করা উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের মাধ্যমে যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে কমিশনেরও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকার সুযোগটা বেড়ে যাবে।
গণমাধ্যমে ইসির অবস্থানটা যেভাবে তুলে ধরছে, যেভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তুলে ধরছে- নির্বাচন কমিশনের সহায়তা থাকবে বলে জানান তিনি। সিইসি জানান, আজকের গণমাধ্যম ৫০ বছরের আগের গণমাধ্যমের মতো নয়। এখন বিভিন্ন রকম চ্যানেল-অনলাইন হয়েছে, যার মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে সংবাদ জানা যায়। গণমাধ্যম তাদের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে তুলে ধরছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনের পক্ষে বলবো- গণমাধ্যমের বিপক্ষে কখনোই আমাদের অবস্থান নয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা, সার্বিক কর্মকাণ্ডকে জনস্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয় সেটা আমরা দেখবো। আমরা আপনাদের দায়িত্বপালনে সহায়তা করবো। গণমাধ্যম যেন আরও উদার থাকে, বস্তুনিষ্টভাবে ও দায়িত্বশীলতার সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তুলে ধরবেন যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আগামী নির্বাচন দেশবাসী ও জনগণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারে।’
মতবিনিময়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।