জ্বলছে বঙ্গবাজার, পাঁচ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।
ভোর ৬টার দিকে আগুন লাগে রাজধানীর বঙ্গবাজারে। বেলা ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল। যোগ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টিম। পুলিশ ও র্যাব আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল ও উৎসুক জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বঙ্গবাজারের চারটি মার্কেটেই আগুন জ্বলছে। বঙ্গবাজার মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ ১০ কোটি মার্কেট, আদর্শ মার্কেট- এই চারটি মার্কেট এক জায়গায় হওয়ায় মূলত সবগুলোকেই লোকজন বঙ্গবাজার মার্কেট হিসেবে ডেকে থাকেন। এই চারটি মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। নানা রকম কাপড় থাকায় আগুনের তীব্রতা বাড়ছে।
বঙ্গবাজার মার্কেট ছাড়াও রাস্তার উল্টো পাশে একটি মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
বঙ্গবাজারে আগুনের তীব্রতার কারণে সড়কে রাখা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দূরে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। দূরে থাকা গাড়িগুলো থেকে পাইপ সংযোগ দিয়ে পানি নিক্ষেপ করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকা অন্ধকার হয়ে গেছে। দূর থেকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও দূর থেকে পানি দিচ্ছেন। আগুন যেন আশপাশের বহুতল ভবনগুলোতে ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
এদিকে আগুন নেভাতে পানির সংকট তৈরি হয়েছে। বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। হলের নিরাপত্তা প্রহরী মো. সুমন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ারের লোকজন আমাদের কাছে আসে পানির জন্য। পরে আমরা হলের গেট খুলে দেই। তারা তখন থেকে ১১টি দমকলের সাহায্যে পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরআবাসিক হল ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে পানি নিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরআবাসিক হল ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে পানি নিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা
এছাড়া মাইকে স্থানীয়দের ফায়ার সার্ভিসের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সাহায্য করার কথা কিছুক্ষণ পর পর মাইকে বলা হচ্ছে।
একাধিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালবেলা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পরই দ্রুত ছুটে আসেন তারা। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে কেউ মার্কেটের ভেতর ঢুকতে পারেনি। সামনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের সম্পদ ছাই হয়ে যেতে দেখেছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছে, আশপাশের বৈদ্যুতিক লাইনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আগুন যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য ফায়ার সার্ভিসের লেডার গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। এটি দিয়ে উপর থেকে পানি নিক্ষেপ করা সম্ভব হবে। এই লেডার দিয়ে পানি নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আর ধোয়ার কারণে কিছুটা কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।