চট্টগ্রামে পুরুষ শূন্য ঘরের মালামাল লুট, নারীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

পুরুষ শূন্য ঘরে ঢুকে স্বর্ণলংকার, নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ঊর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়েশা আক্তার ঊর্মী বলেন, সদরঘাটস্থ দারোগাহাট আপন নিবাসে ৭ম তলায় বসবাস করে আসছিলাম। গতকাল হঠাৎ করে এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে খ্যাত খলিলুর রহমান নাহিদ, ইমরুল হাসান চৌধুরী, আবু তারেক রনি, মাসুদুর রহমান মাসুদ, শাহরিয়ার হাসান ও পারভীন আক্তারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। এসময় আমরা দুই বোন ও মা ছাড়া বাড়ীতে আর কেউ ছিল না। আমরা কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে তারা আমাদের ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র লুট করার মানসে বের করে নিচে নিয়ে যায়। আমার ছোট বোন ও আমি তাদের বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানী করে। পরোক্ষণে ৯৯৯ এ ফোন করলেও প্রায় ১ঘন্টা পর পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশ আসার আগেই আমার বিয়ের জন্য ঘরে গচ্চিত থাকা ২০ লক্ষ টাকা ও প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার তারা লুট করে নিয়ে যায়। অনেক গুলো আসবাব পত্রও নিয়ে যায়। কিছু আসবাব পত্র নিচে পড়ে থাকে পুলিশ উপস্থিত হয়ে সেই আসবাবপত্র গুলো আমাদের ঘরে উঠিয়ে দেয় এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার কিংবা আটক না করে তাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে দেয়। পুলিশের এহেন অবস্থা দেখে আমরা আরও সঙ্কিত হয়ে পড়ি।

তিনি আরো বলেন, আগামী ২৬ মে আমার বিয়ের দিনতারিখ ধার্য্য হয়। এমন সময়ে আমাদের অর্থ লোট, স্বর্ণালংকার লুটের ফলে আমাদের মানইজ্জত সবই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় আমার শশুরবাড়ীর লোকজন জানলে আমার বিবাহও ভেঙ্গে যেতে পারে।বিয়ে ভেঙ্গে গেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর বিকল্প থাকবে না।

আয়েশা আক্তার ঊর্মী তাদের পরিবারের এবং নিজের নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এতবড় জঘন্য সন্ত্রাসী ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও থানা আমাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। উল্টা আমাদেরকে তাদের সাথে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেন স্বয়ং ওসি। তিনি শ্লীলতাহানী, লুটপাট এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন আর প্রশাসনকে মামলা গ্রহণ করে তাদের লুণ্ঠিত মালামাল ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার এবং তাদের নিরাপত্তা প্রদানের আহবান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছোট বোন সদিয়া সুলতানা, চাচাত ভাই রুবেল মিয়া প্রমুখ।