অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই সরকার যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে, তখন রাজস্ব আয় ছিল ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এখন আমাদের রাজস্ব আয় ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ৫৯ হাজার কোটি টাকা থেকে যদি ৩ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছানো যায়; তাহলে এখন যেটা বাড়তি বলা হচ্ছে, তা আমরা অর্জন করতে পারব। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ সিনিয়র সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ফেইল করিনি। ইনশাআল্লাহ, এবারও ফেইল করব না, আগামীতেও আমরা ফেইল করব না। এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) সাদা করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরের বাজেটে বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এ সুযোগটি দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রদর্শিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। তাই, এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই বলেছি, আমাদের বাজেট হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য আর নির্বাচনও হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা অচল। দুটোকেই সচল রাখার জন্য বাজেটের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য যদি কোনো উপকার হয়, হবে। সেটা মানুষের জন্যই হবে এবং মানুষ এটার ভাগ পাবে।