আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, কারও মুখাপেক্ষী হয়ে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে আমাদের স্যাংশন দেবে তা নিয়ে মাথাব্যাথা করে কোনো লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা প্লেন জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে অনেক মহাসাগর আছে, মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশে আমরা যাতায়াত করব, বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে। আরও উন্নত হবে। আরও চাঙা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার (৩জুন) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট যারা চুরি করে, ভোট নিয়ে যারা খেলছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ কোথায় সেটা কিন্তু আমরা ভালো করে জানি। আর সেটা মাথায় রেখেই কাজ করে আজকে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কীভাবে নিরাপদ থাকবে সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের প্রতি আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তারা জানে একমাত্র নৌকায় ভোট দিলেই তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নত জীবন পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল দেশ পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা সবকিছুর উন্নতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ থাকলে সকলের কাজ করে, সকলের সেবা করে। আওয়ামী লীগ ত্যাগ করতে এসেছে। ভোগে বিশ্বাস করে না। তাই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সেভাবে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেসব কাজ করে, সব পরিকল্পিতভাবে করে। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি-মানুষের সংগঠন। জনগণের স্বার্থে এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই যে দেশের কল্যাণ হয়, মানুষের কল্যাণ হয়—সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। কারণ, আমরা যে কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয় ও পদক্ষেপ নেয়—আমরা সব পরকল্পিতভাবে করি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ, মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থা, প্রাকৃতিক অবস্থা সবকিছু বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণ করি। যার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে এবং মানুষ তার ফলাফল পায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে যে গণতান্ত্রিক ধারা অর্জন করতে পেরেছে সেখানে আওয়ামী লীগসহ আমাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা গণতন্ত্র অর্জন করতে পেরেছি। যার ফলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’