আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা ছাড়া কেউ লাভবান হচ্ছে না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। কারণ তারা জনগণের অর্থ দেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের হাঁটু কাঁপছে, কারণ তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা বিদেশে রয়েছে, তারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে নগরের কোতোয়ালী থানার কাজীর দেউড়ি এলাকায় ‘দেশ বাঁচাতে যুব সমাবেশ’ শীর্ষক তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও চট্টগ্রাম যুবদল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে তরুণদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে বাংলাদেশকে বলা উন্নয়নের রুল মডেল যে বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে এখন মরিচীকা।

যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। চরমোনাই পীর আলেম মানুষ।

তার গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। মেরে রক্ত বের করে দিয়েছে। খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সে দেশে গণতন্ত্র থাকতে পারে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের আসামি করে শত শত মামলা করেছে। সেসব মামলায় আমরা জামিন নিতে আদালতে যেতে পারি না। হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার পর, আমরা নিম্ন আদালতে গেলে নিম্ন আদালত আমাদের লোকদের জেলে পাঠায়। তারা ভীতু। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা বিএনপির বিরুদ্ধে পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল উন্নয়ন কাজের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সত্যি যে এটি দেশের প্রথম টানেল। কিন্তু মানুষের মৌলিক চাহিদার কী হবে? টানেলের আগে যুবকদের চাকরির বাজার নিশ্চিত করতে হবে, জীবনধারণের অধিকার ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

আজকে সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আমার স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। ভবিষ্যৎ বিপন্ন। তরুণদের, যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে যেভাবে আটকে রেখেছেন, সেজন্য আপনাদের প্রত্যেকটা মাস, দিন ও ঘণ্টার হিসাব দিতে হবে। যারাই এর পেছনে ছিলো যারা জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার আজ খুব অসহায়। তাদের অসহায়ত্ব দেখে আমার খুব দু:খ হয়। সহজ উপায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর এখানে অন্য কোনো উপায় নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আমরা চাচ্ছি না। আমরা তাকে মুক্ত করবো। তারুণ্যর শক্তি রাস্তায় নেমেছে। ইংরেজিতে বলে গেইম ওভার। আর বাংলাতে বলে খেলা শেষ। ওরা তো বলে খেলা হবে। আমি বলবো খেলা শেষ। আপনাদের স্কোর জিরো।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে বক্তব্য আরও দেন বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহাজাহান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, সাংগঠনিক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।