জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আজ শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, আজ দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বকশীগঞ্জ আমলি আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আসামি মাহমুদুল আলম বাবু বিচারকের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব উল্লাহ পিয়াস তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অপর ১২ আসামির মধ্যে চার দিনের রিমান্ড শেষে ছয় আসামিকে গতকাল ও বাকি ছয় আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত বুধবার জেলহাজতে পাঠান আদালত। জেলহাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার গোলাম কিবরিয়া সুমন (৪৩), মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার মিলন (২৫), নামাপাড়া এলাকার তোফাজ্জল (৪০), একই এলাকার আইনাল হক (৫৫), কফিল উদ্দিন (৫৫), দক্ষিণ কুতুবেরচর এলাকার ফজলু মিয়া (৩৫) ও তার ভাই শহিদ (৪০), মোল্লাপাড়া এলাকার মকবুল (৩৫), সর্দারপাড়া মেরুরচর এলাকার ওহিদুজ্জামান(৩০), মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার মিলন(২৫), মোল্লাপাড়া এলাকার মকবুল (৩৫) এবং সর্দারপাড়া মেরুরচর এলাকার ওহিদুজ্জামান (৩০)।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন বুধবার রাতে বকশীগঞ্জে নিজ বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরের দিন ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের পর ১৬ জুন শুক্রবার উপজেলার নিলক্ষিয়া গোমেরচর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ১৭ জুন শনিবার তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।