প্রধানমন্ত্রী উপহার প্রসঙ্গে যা বললেন বিএনপিনেতা আমান

বিএনপির উত্তর ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে আটকের পর অসুস্থ হলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তাকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা। এ প্রসঙ্গে আমান বলেছেন, ‘আমাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পড়ানো হয়। এ অবস্থায় কে বা কারা এসে কী নাটক সাজিয়েছে তা আমি জানি না।’

আজ শনিবার (২৯ জুলাই) আমানউল্লাহ আমানকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। আমান বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের আক্রমণে মারাত্মক আহত হই। আমাকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে আমাকে আহত অবস্থায় গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আমাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। এমন অবস্থায় কে বা কারা এসে কি নাটক সাজিয়েছে, আমি জানি না।’

উপহার প্রসঙ্গে আমান আরও বলেন, ‘আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দল এবং দেশবাসীর কাছে অতীতে আন্দোলনের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস, একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য আমি যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি তার পেছনে ছুরিকাঘাত করার জন্য এই নাটক সাজিয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ না ভাঙা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে, এই আন্দোলন আমি আছি, থাকব। আপনার কোনো ষড়যন্ত্রে কান দেবেন না।’

এর আগে আজ হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের কথা নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে বিএনপিনেতা আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে যান। এ সময় তার জন্য প্রতিনিধিদল খাবার, মৌসুমি ফল ও ফলের জুস নিয়ে যান। খাবার গ্রহণ করে প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান আমানউল্লাহ আমান।’

গাজী হাফিজুর রহমান লিকু আমানউল্লাহ আমানকে জানান, প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য এসকল খাবার, ফল ও জুস পাঠিয়েছেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর জানতে চেয়েছেন। তিনি আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

এ সময় জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য দেশের ভেতরে অন্য যেকোনো হাসপাতালে আমানউল্লাহ আমান যেতে চাইলে তারও সুব্যবস্থা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।