পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক নারী পোশাকশ্রমিক মারা গেছেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, নিহত শ্রমিকের নাম আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০)। কোনাবাড়ীর ইসলাম গার্মেন্টসে সেলাই মেশিন অপারেটর হিসেবে তিনি কাজ করতেন। আঞ্জুয়ারা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপাড়া চরগিরিশ এলাকার মো. মন্টু মিয়ার মেয়ে।
নিহত আঞ্জুয়ারা খাতুনের স্বামী জামাল হোসেন বলেন, আমি এখন ঢাকা মেডিক্যালে যাচ্ছি। আমার স্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা গেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, সকালে গাজীপুর মহানগরীর জরুন এলাকার স্টার্ন্ডাড, স্বাধীন ও ইসলাম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় না প্রবেশ করে বিভিন্ন কারখানা ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নারী ও একজন পুরুষ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোনাবাড়ী ক্লিনিকের ইমারজেন্সি ডাক্তার অনিক বলেন, বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে গুরুতর আহত এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিক আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। এ ছাড়া ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজিবির লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে সকালে সমস্যা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরে ২২ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।