প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে। তিনি বলেন, “জনগণ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।” প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় সংসদে তাঁর কার্যালয়ে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)-এর মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে একথা বলেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে তার অন্যতম শক্তি হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, সরকার সর্বদা গ্রামীণ উন্নয়নে জোর দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে তিনি গ্রামীণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যতিরিকে এক ইঞ্চি আবাদি জমি ফেলে না রাখার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছেন।তিনি বলেন, “আমি সকলকে অনুরোধ করেছি যেন খাদ্য উৎপাদনে নিয়োজিত হন, যে যা পারেন”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে। ভারত সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছিল এবং প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। বিমসটেকের সাথে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিমসটেক বাংলাদেশের সাথে চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরনে প্রধানমন্ত্রীর দিকদর্শনের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে পুনর্বিন্যাস করে, তা সাতটি সেক্টরে নামিয়ে এনে, এক একটি দেশের নেতৃত্বে এক একটি সেক্টরের সহযোগিতার ক্ষেত্র করার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এই খাতে নেতৃত্বদানকারী দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব করবে, তখন বিমসটেকের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন কারণ নতুন এসজি এবং চেয়ারম্যানশিপ দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয় হবে ঢাকায়। শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছে, যেহেতু ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর গ্রুপের সভাপতিত্ব বর্তাবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে: প্রধানমন্ত্রী