বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবির নিন্দা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী কার্যালয়ে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শনিবার(২৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিইউজে বলেছে, ৫৩ বছর ধরে সাংবাদিকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রাঙ্গণে ঢুকে অবাধে সংবাদ সংগ্রহ করছেন। হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় ব্যাংকিং খাত নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে।
ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে যাচাইয়ের বিকল্প না থাকায় ভুল তথ্য প্রকাশের আশঙ্কা থাকবে। তারা স্বাধীন সাংবাদিকতায় সহায়তার অংশ হিসেবে গত ৫৩ বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধে কাজ করার যে সুযোগ ছিল, তা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় স্বাধীনভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ ও স্বাধীন সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। তারা বলেন, ‘হঠাৎ প্রবেশে বাধা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে ভুল সংবাদ প্রকাশের আশঙ্কা তৈরি হবে, যা কোনো পক্ষেরই কাম্য নয়।’
ডিআরইউ নেতারা অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহায়তা করার দাবি জানান।
এর আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করাকে স্বেচ্ছাচারিতার ও গোপনীয়তার নিন্দনীয় উদাহরণ বলে অভিহিত করেছে। এ ধরনের পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত কয়েক বছরে আর্থিক খাতে বড় ধরনের কেলেঙ্কারির বেশির ভাগ খবর সাংবাদিক সূত্র থেকে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে অপরাধী চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা আড়াল করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।