খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের কার্যকর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পরিবেশ উন্নয়ন, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ুর পরিবর্তন ও তার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট, ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেও প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর মাত্র তিন বছর সাত মাস তিন দিন দেশ পরিচালনার সময় পেয়েছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৭৮টি রেল ব্রিজ এবং ২৭০টি সড়ক ব্রিজ ধ্বংস করে। যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া সড়ক, সড়ক-সেতু, রেল, রেল-সেতু মেরামত ও নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধু যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু মেরামতের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। আর এ কাজে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন প্রকৌশলীরা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলএনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার সব সময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছি। এ ছাড়া আমরা ভবনের কাজ শুরু করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, পূর্বাচলে আইইবির জন্য দুই বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছি। এ ছাড়াও রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইইবির ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।