চেক প্রতারণা মামলায় সাজা হওয়ার পরও থেমে নেই রেলওয়ের ঠিকাদার কাজলের কমিশন বাণিজ্য। বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাছ থেকে দুই পার্সেন্ট কমিশন নিয়ে বিলের টাকা এনে দেন তিনি। তার এই কাজে চট্টগ্রাম রেলের অর্থ ও হিসাব শাখার কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।
কমিশন না দিলে বিলের টাকা আটকে থাকে দীর্ঘদিন, সেজন্য ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে স্পেয়ার্স অ্যান্ড এক্সেসরিজ সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনে’ অভিযোগ করার সাহস পান না ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা। সংগঠনের পক্ষ জানায়, তার কমিশন বাণিজ্যের বিষয়ে শুনেছে। তবে সাজার বিষয়টি সত্যি হলে সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
কমিশনখেকো ওই ঠিকাদার হলেন মিজানুর রহমান কাজল (৬০)। তিনি হালিশহর এলাকার মধ্য রামপুরের হাফেজ বাড়ির ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ‘মেসার্স এনটিএস বিজনেস সলিউশন চট্টগ্রাম’ নামে তার একটি সাপ্লাইয়ার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালে এক ব্যবসায়ী করা চেক প্রতারণা মামলায় পাঁচ মাসের সাজা হয় কাজলের।