চট্টগ্রাম আদালতের প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরপর নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমসহ লাখো মানুষ।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত চত্বরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সেখানে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী নেতারা। তারা সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আজ সকালে আদালতে সাইফুল ইসলামের লাশ নিয়ে আসা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন বেশিরভাগ আইনজীবী। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
এ জানাজায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেলে নুরুল আমিন, হেফাজত নেতা হারুন ইজাহার প্রমুখ।
প্রথম জানাজা শেষে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
এদিকে, চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের ৭৪টি আদালতের কার্যক্রম। তবে সকাল থেকে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
অন্যদিকে, সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছেন কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।